দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান শেষে বিয়ানীবাজার ছাত্রলীগের ৩টি ইউনিটের কমিটি ঘোষণা করেছে সিলেট জেলা ছাত্রলীগ। সোমবার (১১) বিকালে তিন ধাপে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ স্বাক্ষরিত তিন ইউনিটের কমিটি অনুমোদন পায়।

বিয়ানীবাজার উপজেলা, সরকারি কলেজ ও পৌরসভা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণায় বিয়ানীবাজার ছাত্রলীগের মাঝে বইছে আনন্দ ও হতাশা। গত এক যুগ থেকে বিয়ানীবাজার ছাত্রলীগ ৭টি গ্রুপের বিভক্ত। বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে গ্রুপে উপগ্রুপে বিভক্ত ছাত্রলীগে দীর্ঘ দুই দশক পর এসেছে নতুন নেতৃত্ব। ছাত্রলীগের তিন ইউনিটের নতুন দায়িত্বশীলদের কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। বিশেষ করে পদপদবী বঞ্চিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে এ প্লাট ফর্মে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা।

বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রলীগের জুয়েল আহমদ শিপুকে সভাপতি ‍ও জাহিদুল হক তাহমিদকে সাধারণ সম্পাদক করে ৮১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি, বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের কমিটিতে সভাপতি পদে কামরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক পদে রাসেল রহমান রুমি দায়িত্ব পেয়েছেন। কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি ৭১ সদস্য বিশিষ্ট এবং বিয়ানীবাজার পৌরসভা ছাত্রলীগে আশরাফুল আলম সাকেলকে সভাপতি ও রেদওয়ান আহমদকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বিকাল ৩টা ৩৫ মিনিটে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ নিজের ফেসবুক ওয়ালে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি পোস্ট করেন। তিনি একই ভাবে বিকাল ৪টা ৫ মিনিটে পৌরসভা ছাত্রলীগের কমিটি এবং বিকাল ৪টা ২৭ মিনিটে বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণ করেন।

১৯৯১ সালে আব্দুল বারি আহবায়ক ও দেলোয়ার হোসেনকে যুগ্ম আহবায়ক করে বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রলীগের ঘোষিত কমিটি টানা তিন বছর দায়িত্ব পালন করলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। পরবর্তীদের ১৯৯৩ সালে যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন ইংল্যান্ড পাড়ি জমালে তখন আহবায়ক কমিটি পূর্ণগঠন করা হয়। পূর্ণঘটিত কমিটিতে যুগ্ম আহবায়ক হিসাবে স্থান পান আব্দুল কুদ্দুছ টিটু, ইকবাল হোসেন ও মাহমুদ হোসেন। দীর্ঘ সাত বছরে নানা জটিলতার কারণে আহবায়ক কমিটি পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে রূপ পায়নি। পরে দেওয়ান মাকসুদুল ইসলামকে আহবায়ক ও ফারুকুল হক এবং আব্বাছ উদ্দিনকে যুগ্ম আহবায়ক করে ২০০০ সালে ঘোষণা করা হয় আহবায়ক কমিটি। ছাত্রলীগ রিভারবেল্ট ও প্রপার গ্রুপের দায়িত্বশীলরা দীর্ঘ আলোচনা পরও নানা কারণে পূর্ণাঙ্গ কমিটি পায়নি উপজেলা ছাত্রলীগ। পরবর্তীতে ২০০৩ সালে আবুল কাশেম পল্লবকে সভাপতি ও জাকির হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা ছাত্রলীগের দায়িত্বশীলরা কমিটি ঘোষণা করেন। এর এক বছর পর পুনরায় আহবায়র কমিটি গঠন করা হয়। ২০০৪ সালে জামাল হোসেনকে আহবায়ক এবং আবুল কাশেম পল্লব ও জাকির হোসেনকে যুগ্ম আহবায়ক করে ঘটিত কমিটি পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে রূপ লাভ করেনি।